তৃষিত নয়নে চেয়ে থাকি তাহার আসার পানে

তৃষিত নয়ন মোর চাহিয়া থাকে তাহারই আগমনি পথ পানে

আসিবে কখন মোর প্রান সখী আমারই হৃদয় মন্দিরো দ্বারে।

সে যে আসিবে ভিরু ভিরু পায়ে ঠোটেরই কোনে মৃধু হাসি রেখে

সাজিয়ে দিবে এ হৃদ মন্দির খানি ভালবাসার আভির মেখে।

তাহারি লাগিয়া সদা আমার এ অন্তর খাণি বেকুলও হইয়া ওঠে

যানিনা কিসেরো লাগি তাহারে মোর এতো যে ভালো লাগে।

যাখনি এই অবুঝ নয়ন দেখিনু তাহারই নয়ন পানে

বুকেরই মাঝে সদা সহসা প্রেম হাহাকার করে কেদে উঠে।

এই ধরনিতে মুই আসিয়াছি সুধু তাহারি হবার তরে

সেকি আসিবে সহসা কখনো সহাস্য চিত্তে ক্ষুদ্র এ অন্তরে।

তাহারি তরে মুই এই মিনতি যানাই আসিওগো সখি

কোন এক সাওনো মাসে চুপি সারে প্রেমের খেয়া ঘাটে,

করিব তোমারে মুই সওয়ারী এই জীবন নদীর বাকে।

হাসিব খেলিব সহসা দুজনে বার মাসই পারবনে

তৃ্ষ্ণা মিটাব দুজন দুজনার অন্তরে অন্তর রেখে।

গাহিব গীতি বাজাইব বাশি লইয়া তাহারে সনে

রাখিব তাহারে সাজিয়ে যতনে আমারি ছোট্ট মনে।

শস্য ক্ষেতের ধারে বসিব দুজনে হাত রেখে তাহার হাতে

সুনাইব মোর মনেরো কথা যাহা কিছু বুকে জমানো আছে।

সাজাইব তাহারে বনফুল দিয়ে মালা দিব বকুল ফুলে

বাধব খোপা লাল জবা ফুলে বেলি ফুলের দুলে দিয়ে।

আসিলে সখী বসাইব তারে দক্ষিন বারান্দাতে

দক্ষিনা বাতাসে জুরাইবে প্রান দুরিবে ক্লান্তি তাতে।

আসিবে সে সাজের বেলা থাকিবে নিশি রাত্রি ধরে

দেখিব তারে চন্দ্রের আলোতে প্রেম মাখা দৃষ্টি ভরে।

তৃষিত নয়নে তাই চেয়ে থাকি আজো তাহারি আসার পানে

সে আসিবে আসিবেই একদিন আমার আঙ্গিনাতে ফুল বনে।।